সিলেটে বন্যার্ত পরিবারে ইউএমআর ও সাদাকাহ’র গোশত বিতরণ
Published Date: 22 February, 2022
ঈদ আসে, ঈদ চলে যায়। কিন্তু সবার ঘরে কী ঈদের হাসিখুশি থাকে? অন্য বছরের তুলনায় সিলেটের নিম্নাঞ্চলে এবারের ঈদটা ছিল আনন্দহীন, রসখশ ছাড়া। নতুন জামা পরিধান করা কিংবা পশু কুরবানী করার চাইতে বড্ড প্রয়োজন ছিল বন্যার কবল থেকে মুক্তি। এহেন পরিস্থিতিতে ইউএমআর এবং সাদাকাহ ইউএস এর যৌথ উদ্যোগে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যার্ত পরিবারে গোশত বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যা পরবর্তী বানভাসি অঞ্চলের চিত্র পাল্টে গেছে। সমাজের চারপাশে এখনো বিরাজ করছে নানান হাপিত্যেশ। যে কারনে অনেক এলাকায় চলতি বছরের ঈদুল আজহাতে বহু পরিবার এমনকি কোনো কোনো এলাকায় পুরো গ্রামজুড়ে কুরবানী হয়নি। আসলে তাদের চোখের সামনে কুরবানির গোশত খাওয়ার চেয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদ কিংবা মাথাগোঁজার ঠাঁই ছিল খুব বড়।
সম্প্রতি গোশত বিতরণ কর্মসূচি পালনের পূর্বে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাদাকাহ'র সিলেট প্রতিনিধি, দৈনিক জৈন্তা বার্তার স্টাফ রিপোর্টার, হাফিজ মাওলানা শাহিদ হাতিমী বলেন-
এমন কঠিন মুহুর্তে বন্যার্ত মুসলিম পরিবারে গরুর মাংস বিতরণ করার মাধ্যমে ইউএমআর ও সাদাকাহ ইউএস এর উদ্যোগ নিসন্দেহে একটি মহৎ কর্ম সম্পাদনের নামান্তর। তিনি সাদাকাহ ইউএস এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও উর্ধতন দায়িত্বশীল মোঃ বাদশাহ মিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন- মানবতার কল্যাণে সাদাকাহ'র ব্যানারে তাদের তৎপরতা আগে যেমন ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
কুরবানির দিনসহ সম্প্রতি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর-হেমু, দরবস্ত, চারিকাটা ও লক্ষীপ্রসাদ এলাকার বন্যার্ত প্রায় ৩০টি পরিবারে গরুর তরতাজা গোশত বিতরণ করা হয়। এসব গোশত বিতরণকালে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, আলেম উলামা এবং গ্রাম্য মাতবরগণ উপস্থিত ছিলেন।